সংহতি ডেস্ক:
খুলনার রূপসার শিয়ালীতে হিন্দু মন্দির, ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে খুলনা মহানগর ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা পরিষদ ও স্বজন সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণপদ দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো: মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মো: মফিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা অসিত বরন বিশ্বাস প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন, শ্রীগুরু সংঘ, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ, বটিয়াঘাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ মাতুয়া মহাসংঘ, খুলনা সদর থানা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, হরিনটানা থানা পূজা উদযাপন পরিষদ, সোনাডাঙ্গা থানা পূজা উদযাপন পরিষদ, সনাতন সংস্কৃকি চর্চা সংঘ, শিয়ালী ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী, সুরক্ষা নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা-সুনাম কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
বিকেল চারটা থেকে দুইঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সাম্প্রদায়িক উষ্কানী দিয়ে যারা মদদ দিয়েছে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বক্তৃতা করেন সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু, মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার, শ্যামল দাস, স্বজন সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা মল্লিক সুধাংশু, গোবিন্দ ঘোষ, বিমান সাহা, যুব ও ছাত্র ঐক্যের অভিজিত সরকার রাহুল, নিক্সন ঘোষ, কানাই মন্ডল প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ননীগোপাল মন্ডল, আওয়ামীলীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, অ্যাড. অলোকানন্দা দাস, ইউপি চেযারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, স্বজন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য সচিব সুনীল দাস, সুনামের সাধারণ সম্পাদক এসএম সোহেল ইসহাক, সামাজিক আন্দোলনের নেতা শরিফুল ইসলাম সেলিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. অসীম কুমার বৈদ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যারা এ হামলার পিছনে ইন্দন দিয়েছে, ষড়যন্ত্রকারী ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে দেশের আর কোথাও এ ধরনের ইন্দনদাতা ও মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সাহস না পায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা কোন সহায়তা চাই না-এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত ও এর ইন্দনদাতাদের খুজে বের করে কঠোর শাস্তি দিবে হবে। প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৩জনকে আটক করেছে। কিন্তু ঘটনার প্রকৃত হুকুমদাতা ও ভাংচুরের নেতৃত্বদাতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। হামলা ও ভাংচুরে জড়িত দূবৃর্ত্তদেরকে আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।