সংহতি ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদমিনার প্রাঙ্গণে উদীচী সিলেট জেলা সংসদ প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
উদীচী সিলেট জেলা সংসদের সহসভাপতি প্রফেসর ডা. অভিজিৎ দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাশ ঠোকন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান পাপলু, জৈন্তা কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. হোসাইন আহমদ, উদীচী লাক্কাতুরা চা বাগান শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল গোয়ালা, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ, সিলেটস্থ বৃহত্তর তাহিরপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদ নেতা সুরঞ্জিত তালুকদার প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অজয় বৈধ্য অন্তর, সন্দ্বীপ দাস বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এই অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন উদীচী সিলেটের সহসভাপতি ডা. অভিজিৎ দাস, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সন্দ্বীপ দেব।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. অভিজিৎ দাস বলেন, এই প্রতিবাদী অবস্থানের মাধ্যমে এবং দেশব্যাপী উদীচীর প্রতিবাদী সাংস্কৃতি সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি, আপনারা ঝুমন দাসের মুক্তি দিন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন প্রণয়নের সময় বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না, কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু দুঃখের ও লজ্জার বিষয় এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অপরাধ, তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে যারা দুর্নীতি করছে, লুটপাট করছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ, অন্যায় অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণকে নিরাপত্তা দেয় না। এই আইন লুটপাটকারীদের নিরাপত্তা দেয়। এই স্বাধীনতা, মৌলিক মানবাধিকার ও ৭২এর সংবিধানের পরিপন্থী। তাই এই আইন বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।